শীতের দাপট কবে কমবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

সারাদেশে জেঁকে বসেছে শীত। শৈত্যপ্রবাহ আর ঘন কুয়াশায় কঠিন হয়ে পড়েছে জনজীবন। বেশ কিছু জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রেকর্ড হচ্ছে। দিনভর সূর্যের দেখা মিলছে না
বিশেষ করে টানা শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। মাঘের মধ্যবর্তী সময়ে এসে তীব্র শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়ের মানুষ। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭

দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার গত ৩ সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে পড়েছে এই জনপদ। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা।
মাঝে মধ্যে সূর্য উঁকি দেয়ার চেষ্টা করলেও মুহূর্তেই মেঘ এসে ঢেকে ফেলছে। হঠাৎ মেঘ সরিয়ে সূর্যের মুখ দেখা গেলেও উত্তরের কনকনে হিম শীতল বাতাসে উষ্ণতা কমে যায়। সন্ধ্যা থেকেই

অতি ভারি কুয়াশায় ঢেকে যায় গোটা জেলা। বিশেষ করে নদী অববাহিকার সড়কগুলোতে যান চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করে যানবাহন। ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তর দিক থেকে আসা কনকনে শীতল বাতাসে বেশি কাবু হয়েছে মানুষ। দিনভর আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে পঞ্চগড়ের শীতার্ত মানুষগুলোকে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া

পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, উত্তর-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে যে বায়ু প্রবাহিত হওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে অনুপাতে এ অঞ্চলে এখন শীতের তীব্রতা বেশি হচ্ছে। পুরো জানুয়ারি পর্যন্ত তাপমাত্রা এমন থাকবে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের পর থেকে আস্তে আস্তে শীত কমতে থাকবে আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ সারা দেশে তাপমাত্রা আরও কমবে। এতে শীত আরও বাড়বে। সেই সঙ্গে রাজধানীতে শৈত্যপ্রবাহেরও আভাস দেওয়া হয়েছে এছাড়াও আজ রাতে ঢাকাসহ সারা দেশের

তাপমাত্রা আরও কমবে। রাতেই ঢাকাতে ১ থেকে ২ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রা কমবে। এই শীত আগামীকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। তবে আগামী ২৪ জানুয়ারি থেকে মেঘলা আকাশ বিরাজ করলে শীত কিছুটা কমবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নামলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। আর ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নামলে তা হয় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। আর ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলো তীব্র শৈত্যপ্রবাহ