লেবানন থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা চালাল হিজবুল্লাহ

গতকাল হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর এবার লেবানন থেকেও রকেট হামলা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। তিনটি নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, রবিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর রেডিও লেবানন থেকে উত্তর ইসরায়েলের দিকে মর্টার শেল ছোড়ার খবর দিয়েছে এদিকে লেবানন থেকে ছোড়া গোলাগুলো শেবা ফার্মসে ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে যে,

তারা লেবাননের ওই এলাকায় একটি আর্টিলারি হামলা চালাচ্ছে, যেখান থেকে মর্টার শেল ছোড়া হয়েছিল অপরদিকে লেবানন থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেছে হিজবুল্লাহ। এদিকে লেবানন থেকে নিক্ষিপ্ত মর্টার শেলগুলো বিরোধপূর্ণ মাউন্ট ডভ অঞ্চলে পড়েছিল বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত বা কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি তারা জানিয়েছে, ‘আইডিএফ (ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স) আর্টিলারি

বর্তমানে লেবাননের সেই এলাকায় আক্রমণ করছে যেখান থেকে গুলি চালানো হয়েছিল। আইডিএফ এই ধরণের সম্ভাবনার জন্য প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সমস্ত অঞ্চলে এবং প্রয়োজনে যেকোনো সময়ে কাজ চালিয়ে যাবে। এদিকে আল আরাবিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি আর্টিলারি গোলাগুলো দক্ষিণ লেবাননের কাফার শুবার আশেপাশে পড়েছে। তবে ইসরায়েলি

কামানের আঘাতে লেবাননের পক্ষে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে ইসরায়েল লেবাননের সীমান্তে পর্যটন সুবিধা তথা রিসোর্ট বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।
এর আগে শনিবার সকালে হঠাৎ করে ইসরায়েলে ব্যাপক আক্রমণ শুরু করেছে অবরুদ্ধ গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস। প্রথম ২০ মিনিটে হামাস ৫ হাজার রকেট ইসরায়েলে নিক্ষেপ করার দাবি করে। তবে ইসরায়েল জানিয়েছে তারা শুরুতে প্রায় ৩ হাজার রকেট হামলার মুখোমুখি হয়েছে আকস্মিক এই হামলায় শুরুতে বিচলিত হয়ে পড়ে ইসরায়েল। তাৎক্ষণিক গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। দুই পক্ষের মধ্যে এরই মধ্যে হামলা অব্যাহত রয়েছে।

হামাস দখলকৃত ফিলিস্তিনের বেশ কিছু অঞ্চল নিজেদের অধিকারে নেয়ার দাবি করেছে। ২০ টির বেশি স্থানে হামাসের সাথে লড়াই চলছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী এদিকে দুই পক্ষের হামলায় এখন পর্যন্ত ইসরায়েলে তিনশোর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে দেড় হাজারের বেশি ইসরায়েলি। অপরদিকে ইসরায়েলের হামলায় ২৫০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। আহত হয়েছেন কয়েকশ মানুষ