থানায় মীমাংসার বৈঠক শেষে ফেরার পথে আ.লীগ নেতা খুন

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দু-পক্ষের দ্বন্দ্বের মীমাংসা জন্য থানায় কয়েক দফা বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে ফেরার সময় এক পক্ষের নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুজন ছাড়া এ ঘটনায় আজ সোমবার সকালে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন নেতা-কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। গতকাল রোববার রাত ২টার দিকে উপজেলার

মিনগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঠাকুর দাস নিহত ব্যক্তি হলেন হাবিবুর রহমান রিপন। তিনি উপজেলার আবাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। রিপনের বাবা আবুল কালাম আজাদ আবাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আহতেরা হলেন কাজী

আমিনুর ও রাসেল জোয়ার্দার নামের দুই কর্মী। আহত আমিনুর রহমান ফরিদপুর সদর হাসপাতালে এবং রাসেল ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছে, শৈলকুপা উপজেলার ১১ নম্বর আবাইপুর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক হেলাল উদ্দিনের সমর্থক,

সাবেক ইউপি সদস্য রঞ্জু গ্রুপ এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তার মৃধার সমর্থক হাবিবুর রহমান রিপন গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল এরই জেরে গত ১৪ অক্টোবর রিপন গ্রুপের সমর্থক মুস্তাক হোসেনকে পিটিয়ে আহত করে রঞ্জু গ্রুপের সমর্থকেরা। পাল্টা জবাবে রিপন গ্রুপের সমর্থকেরা রঞ্জু গ্রুপের সমর্থক টোটন হোসেনকে পিটিয়ে আহত করে। এ নিয়ে উভয় গ্রুপের চারজনকে আটকও করে পুলিশ