ঘরে তালা দিয়ে আগুন, বাচ্চাদের নিয়ে বাথরুমে বসে ছিলেন মা

ঢাকার দোহারে একটি বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী ও ৩ শিশু আগুনে দগ্ধ ও ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়েছেন। দগ্ধদের অভিযোগ, ঘরটিতে বাইরে থেকে তালা দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাদের ৫ জনকেই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টার দিকে দোহার উপজেলার মোকশেদপুর ইউনিয়নের দিতপুর গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে দক্তরা হলেন, প্রবাস ফেরত

জুলহাস শেখ (৫৩), তার স্ত্রী ফাহিমা আক্তার (৩৫), ছেলে জুনায়েদ আহমেদ (৮), মেয়ে জান্নাত (১৩) ও ভাতিজি তাবাসসুম আক্তার (১০) দগ্ধ জুলহাসের ভাই আনোয়ার হোসেন জানান, সোমবার দিবাগত রাতে নিজের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন জুলহাসের পরিবার। রাত ৩টার দিকে তাদের সেই ঘরে দাউ দাউ করে আগুন জলতে দেখা যায়। ঘরের দরজার বাইরের তালা লাগানো ছিল। তখন ঘরের পিছনের একটি ওয়াল ভেঙে তাদেরকে বের করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য

কমপ্লেক্সে। সেখান থেকে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয় দগ্ধ ফাহিমা আক্তার জানান, মধ্যরাতে যখন তাদের ঘরে আগুনের আচ পান, তখন বাচ্চাদের নিয়ে তিনি বাথরুমে ঢুকে পড়েন। সেখানেই পানির কল ছেড়ে বসে ছিলেন। পরবর্তীতে দেয়াল ভেঙে তাদেরকে বাইরে বের করা হয়। তবে ধোঁয়ায় তাদের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এছাড়া ফাহিমার মুখমন্ডল ও হাতে সামান্য দগ্ধ হয় দগ্ধ জুলহার জানান, কিছুদিন আগে

তাদেরই দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়কে (যুবক) জুলহাসের ছোট ভাই নিজের বাড়িতে রেখেছিলেন। তবে সে ছেলে মাদকাসক্ত ছিল। কিছুদিন পূর্বে তাকে এই বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। এরপর গত চার দিন আগে কে বা কারা তাদের কয়েকটি ঘরে বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে রেখে যায়। ওই রাতেই বাড়ির পাশ থেকে কয়েক গ্যালন পেট্রোল উদ্ধার হয়। তাদের ধারণা ওই যুবকই

সোমবার রাতে ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসকরা জানান, জুলহাসের মুখমন্ডলের ৩ শতাংশ আর তার স্ত্রী ফাহিমার ৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এছাড়া সবারই শাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে জুলহাসকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে