এবার ইরানে সরাসরি হামলা চালানোর হুমকি ইসরায়েলের

হামাস-ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ গড়িয়েছে ১৫তম দিনে। এরই মধ্যে ইরানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির এক মন্ত্রী এবার ইরানে সরাসরি হামলা চালানোর হুমকি দিয়ে বসলেন প্রথম থেকেই হামাস-ইসরায়েলের মধ্যকার চলমান যুদ্ধ যেন অন্যত্র ছড়িয়ে না পড়ে সে ব্যাপারে শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের

অন্যান্য অঞ্চলে যুদ্ধের বিস্তৃতি ঠেকাতে কাজ করছে আরব দেশগুলোর নেতারাও তবে পশ্চিমাদের হুঁশিয়ারি এবং আরব নেতাদের চেষ্টার পরও এই যুদ্ধে ইতোমধ্যে কিছুটা জড়িয়ে গেছে লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। লেবাননভিত্তিক এই মিলিশিয়া বাহিনী গত কয়েকদিন ধরে ইসরায়েলের সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। সামনের দিন গুলোতে দুই পক্ষের মধ্যে বড় যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে এখন।

তবে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ যদি এই যুদ্ধে যোগদান করে তাহলে ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি হামলা চালাবে বলে হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী নির বারকাত রোববার (২২ অক্টোবর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, হিজবুল্লাহকে দিয়ে ইরানই মূলত ইসরায়েলে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে তিনি বলেন,

ইরানের পরিকল্পনা ইসরায়েলকে সব দিক থেকে হামলা করা। যদি আমরা বুঝতে পারি তারা (হিজবুল্লাহ) ইসরায়েলে হামলা চালাতে চায়, শুধুমাত্র আমাদের সব ফ্রন্টে নয়, আমরা সাপের মাথা ইরানের ওপরও হামলা চালাব ইসরায়েলি অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী হুঁশিয়ারির সুরে বলেছেন, যদি হিজবুল্লাহ ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু করে তাহলে এর ফলাফল হিসেবে

‘পৃথিবীর বুক থেকে হিজবুল্লাহ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে’ এদিকে হিজবুল্লাহর হামলার মুখে লেবানন সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলো থেকে হাজার হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নিচ্ছে ইসরায়েল। বিগত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১৪টি সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণাধীন অস্থায়ী আবাসনে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

রোববার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা লেবানন সীমান্ত লাগোয়া উত্তর ইসরায়েলের আরও ১৪টি গ্রামের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার তালিকা তৈরি করেছে নিরাপত্তা শঙ্কায় এর আগে গত সপ্তাহে আরও ২৮টি এলাকার বাসিন্দাদের বাধ্যতামূলক ঘর ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। সরকারের এই সিদ্ধান্তে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কিছু ইসরায়েলি।

সূত্র : হারেৎজ