বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ‘জোড়াতালির’ দল

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে স্বীকৃত ওপেনার মাত্র দু’জন। টপ-অর্ডার আর মিডল-অর্ডার মিলিয়ে ব্যাটসম্যান পাঁচজন। আর অধিনায়ক সাকিবের বাইরে বিশেষজ্ঞ স্পিনার আছেন আরও দুজন। এ ছাড়া স্কোয়াডে আছেন স্বীকৃত পাঁচ পেসার। আর মেহেদী মিরাজের অলরাউন্ডার পরিচয়টা কারো অজানা নয় আগামী ৫

অক্টোবর থেকে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে ফরম্যাটের বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টে প্রায় ৪৬ দিনব্যাপী চলবে। এত বড় ও লম্বা এই টুর্নামেন্টে এমন স্কোয়াড বেশ কিছু দিক দিয়ে বিপাকে ফেলতে পারে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। আর তৃতীয় বা ব্যাক-আপ ওপেনারের বিষয়টি তো একদম স্পষ্টই একটু পিছনে ফেরা যাক; দল গঠনের প্রক্রিয়ায় নির্বাচকরা কতটা স্বাধীন, গত কয়েক দিনেই এটা লক্ষ্য করা

গেছে। এমনকি তামিমের বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়া নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে বিশ্বকাপে কেউ চোটে পড়লে তার পরিবর্তে কাউকে সহজেই পাঠানো যায়, এটা নিশ্চয়ই নির্বাচক কিংবা টিম ম্যানেজমেন্টের অজানা নন। যে কারণে সহজেই তামিমকে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রেখে পরিকল্পনা সাজানো যেত। আর তামিমের বিকল্প

হিসেবে যাকে (তানজিদ তামিম) ভাবা হয়েছে, তার ফর্মও জুতসই না। তাই ওপেনিংয়ে একপ্রকার ঘাটতি থাকছেই এই স্কোয়াডে
সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিবেচনায় ব্যাটিং ইউনিট বেশ ভাবাচ্ছে টাইগার টিম ম্যানেজমেন্টকে। আর বিশ্বকাপে এটাই চিন্তার কারণ হবে। কেননা, পাঁচজন পেসার, দু’জন স্পিনার, দু’জন স্পিনিং অলরাউন্ডার নিয়ে মূলত বোলিং ইউনিটের পাল্লাই ভারী করা

হয়েছে স্বীকৃত ওপেনারদের সঙ্গে মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহকে নিজ নিজ পজিশন বিবেচনায় যদি একাদশ সাজানো হয়, তাহলে একাদশের বাইরে কোনো ব্যাটারই থাকবে না চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের দলে। সহজ করে বললে, স্কোয়াডে এতজন বোলার রাখাটা ‘বিলাসিতা’ ছাড়া আর কিছুই না। কেননা, মূল দুর্বলতা

ওপেনিংয়ে ব্যাক-আপ ওপেনারের বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে স্কোয়াড সাজানো হয়েছে আর বিশ্বকাপে যদি মেকশিফট ওপেনারের বিষয়টি মাথায় রেখে পরিকল্পনা করা হয়, তবে তা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। কেননা, যেকোনো জিনিসেরই প্রক্রিয়া থাকে। যেটা এখানে কোনোভাবেই লক্ষ্য করা যায়নি এক কথায় বললে, এই দলটা জোড়াতালির একটা দল। যেটা দেখলে মনে হবে, অনেক অপশন রয়েছে; কিন্তু এতে কোনো কম্বিনেশনই ঠিক নেই