পাকিস্তানকে হারানো ভারতীয়দের কাছে বিশ্বকাপ জয়ের মতো’

ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ম্যাচ ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইয়ের উন্মাদনার ধারেকাছেও নেই অন্য কোনো ম্যাচ। তবে রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে প্রায় ১১ বছর ধরে বন্ধ ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। আর তাই বিশ্বকাপ বা বড় কোনো টুর্নামেন্টই ভরসা সমর্থকরদের।

গেল ৫ অক্টোবর অনাড়ম্বর আয়োজনে মাঠে গড়িয়ে বিশ্ব ক্রিকেটের মহোৎসব। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ১৪ অক্টোবর ভারত-পাকিস্তান মহারণ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারাতেই হবে, রোহিত শর্মাদের কাছে এমনটাই চাওয়া ভারতের বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি ব্যাটার সুনীল গাভাস্কারের। এ ম্যাচ নিয়ে ভারতীয় সমর্থকরা উন্মাদনায় ভাসছে, তাই সে আনন্দ যাতে মাটি না হয় তার জন্যই জয় প্রয়োজন বলে মনে করেন গাভাস্কার। সে সঙ্গে চলমান বিশ্বকাপ জয়ে স্বাগতিদেরই এগিয়ে

রাখছেন তিনি। ২০১১ সালের পর বিশ্বকাপ জিততে না পারার দীর্ঘদিনের আক্ষেপ এবার ঘুচবে বলেই আশা তার বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ভেন্যুতে হাইভোল্টেজ ম্যাচটির উন্মাদনায় ভাসছে পুরো ভারত। এমনিতেই দেশজুড়ে চলছে শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি। এরমধ্যেই বিশ্বকাপের আনন্দ। বাড়তি পাওনা ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ দেখার সুযোগ। এ ম্যাচের উন্মাদনা এতটাই বেড়ে গেছে যে একটি টিকিটের দাম কালো বাজারে ৫৭ লাখ রুপি পর্যন্ত উঠেছে।

নির্ধারিত দিনের হোটেল-মোটেলের বুকিং শেষ হয়ে গেছে আগেই। উপায় না পেয়ে অনেকে হাসপাতালের সিটও বুকিং দিয়ে রেখেছেন।
যে ম্যাচ ঘিরে এমন উন্মাদনা, সেখানে দল না জিতলে হয় কি করে! রোহিত শর্মাদের তাই বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারানোর অনুরোধ করেছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার, ‘আপনি যদি দেশের যেকোনো সাধারণ মানুষকে জিজ্ঞেস করেন তাদের চাওয়া কী? সবাই একবাক্যে বলবে পাকিস্তানকে হারাতে

চাই। তারপর বিশ্বকাপ ভাবনা। বাবরদের হারানো ভারতীয়দের কাছে বিশ্বকাপ জয়ের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয় বিশ্বকাপ জয়ে ভারতেই এগিয়ে রেখেছেন গাভাস্কার। গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘এবারের বিশ্বকাপে ভারতই ফেভারিট। ব্যাটিং-বোলি সব বিভাগেই আমরা সেরা। এটাই সুযোগ দীর্ঘদিন ধরে আইসিসির কোনো ইভেন্টে শিরোপা খরা ঘোঁচানোর। আশা

করছি রোহিতরা আমাদের আনন্দে ভাসাবে উল্লেখ্য, ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসরে এখন পর্যন্ত ৭ বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। যেখানে প্রতিবারই বিজয়ীর বেশে মাঠ ছেড়েছে টিম ইন্ডিয়া। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দুই দলের লড়াই ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। সবশেষ এশিয়া কাপেও এই দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল। গ্রুপ পর্বের ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেন্তে গেলেও সুপার ফোরের ম্যাচে বাবর আজমদের উড়িয়ে দিয়েছে তারা