১০:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশি চ্যানেলে নতুন তুর্কি ধারাবাহিক ‘‌ফেরিহা‘‌

হমেত, ফেরিহা আর ওমের এই তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে রিযা ও যেহরার সংসার। একটা বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টের র’ক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে পুরো পরিবার। সমাজের নি’চুস্তরের স্বপ্নাতুর মানুষের জীবনকে ঘিরে নির্মিত তুরস্কের জনপ্রিয় এই সিরিয়াল। এক পরিশ্রমী, সৎ ও নিষ্ঠাবান গৃহকর্মীর গর্ভে জন্ম নেয় সিরিয়ালের নাম চরিত্র -ফেরিহা।

এই গল্পের নাম ভূমিকায় নায়িকা ফেরিহা থাকলেও, কোথাও না কোথাও এ যেন তার মা যেহরা’র গল্প। যে কিনা ইস্তাম্বুলের ধূলোবালি পরিষ্কার করতে করতে স্বপ্ন দেখে তার তিন ছেলে মেয়ে একদিন মানুষের মতো মানুষ হবে। তখন সে এই ধূলোমাখা জীবন থেকে মুক্তি পাবে।

যেহরার মতো তার বড় দুই ছেলেমেয়েও স্বপ্নবিলাসী। কিন্তু বাবা মায়ের মত চারিত্রিক দৃঢ়তা তাদের নেই। তাই তারা নিজেদের অজান্তেই জড়িয়ে পড়ে মিথ্যা আর অন্যায়ের জটিল জালে। মেধাবী ছাত্রী ফেরিহা নিজের যোগ্যতায় পড়ার সুযোগ পায় দেশের এক স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে।

সেই সূত্রে তার পরিচয় ও প্রেমের স’ম্পর্ক গড়ে ওঠে এমির নামে অভিজাত পরিবারের এক ছেলের সাথে। কিন্তু নিজের অবস্থান ধরে রাখতে, আসল পরিচয় গোপন করে ফেরিহা। আর সেই মিথ্যাই জটিল থেকে জটিলতর করে তোলে ফেরিহার জীবনের প্রতিটি মু’হূর্ত।

এদিকে কাকতালীয়ভাবে এমিরেরই গাড়ি চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত হয় ফেরিহার ভাই মেহমেত। অতঃপর নতুন করে ঋণের বোঝা চাপে অসহায় বাবা মায়ের উপর। পরিবারের শত কষ্ট দেখেও, ফেরিহা এনিয়ে এমিরকে কিছুই বলতে পারে না।

বলতে পারে না নিজের বাস্তবতার কথা। এভাবেই ওদের বলা না বলার সংশয় আর সম্মানের সাথে বেঁচে থাকার সংগ্রাম নিয়ে এক অভিনব নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় এই সিরিয়ালের এক একটি পর্ব।

দীপ্ত টিভির অভিজ্ঞ ডাবিং টিমের পরিচর্যায় গল্পটি হয়ে উঠেছে আরো প্রাণবন্ত, আ’কর্ষণীয়। অনূদিত সংলাপ রচনা ও সম্পাদনায় কাজ করেছেন জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী, মাহমুদুল হাসান মুরাদ, শারমিন হোসেন, আইরিন পারভীন, রেজওয়ান মোর্শেদ, কে এম আল ইফতেখার, সামসুন্নাহার ও ফেরদৌস বেনজীর বৃষ্টি।

ধারাবাহিকটি প্রযোজনা করেছেন তসলিমা তাহরিন। প্রচারিত হবে ১৩ নভেম্বর থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টায় ও রাত ৯টায়।

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

দেশি চ্যানেলে নতুন তুর্কি ধারাবাহিক ‘‌ফেরিহা‘‌

আপডেট সময়ঃ ০৫:৫৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ নভেম্বর ২০২০

হমেত, ফেরিহা আর ওমের এই তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে রিযা ও যেহরার সংসার। একটা বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টের র’ক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে পুরো পরিবার। সমাজের নি’চুস্তরের স্বপ্নাতুর মানুষের জীবনকে ঘিরে নির্মিত তুরস্কের জনপ্রিয় এই সিরিয়াল। এক পরিশ্রমী, সৎ ও নিষ্ঠাবান গৃহকর্মীর গর্ভে জন্ম নেয় সিরিয়ালের নাম চরিত্র -ফেরিহা।

এই গল্পের নাম ভূমিকায় নায়িকা ফেরিহা থাকলেও, কোথাও না কোথাও এ যেন তার মা যেহরা’র গল্প। যে কিনা ইস্তাম্বুলের ধূলোবালি পরিষ্কার করতে করতে স্বপ্ন দেখে তার তিন ছেলে মেয়ে একদিন মানুষের মতো মানুষ হবে। তখন সে এই ধূলোমাখা জীবন থেকে মুক্তি পাবে।

যেহরার মতো তার বড় দুই ছেলেমেয়েও স্বপ্নবিলাসী। কিন্তু বাবা মায়ের মত চারিত্রিক দৃঢ়তা তাদের নেই। তাই তারা নিজেদের অজান্তেই জড়িয়ে পড়ে মিথ্যা আর অন্যায়ের জটিল জালে। মেধাবী ছাত্রী ফেরিহা নিজের যোগ্যতায় পড়ার সুযোগ পায় দেশের এক স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে।

সেই সূত্রে তার পরিচয় ও প্রেমের স’ম্পর্ক গড়ে ওঠে এমির নামে অভিজাত পরিবারের এক ছেলের সাথে। কিন্তু নিজের অবস্থান ধরে রাখতে, আসল পরিচয় গোপন করে ফেরিহা। আর সেই মিথ্যাই জটিল থেকে জটিলতর করে তোলে ফেরিহার জীবনের প্রতিটি মু’হূর্ত।

এদিকে কাকতালীয়ভাবে এমিরেরই গাড়ি চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত হয় ফেরিহার ভাই মেহমেত। অতঃপর নতুন করে ঋণের বোঝা চাপে অসহায় বাবা মায়ের উপর। পরিবারের শত কষ্ট দেখেও, ফেরিহা এনিয়ে এমিরকে কিছুই বলতে পারে না।

বলতে পারে না নিজের বাস্তবতার কথা। এভাবেই ওদের বলা না বলার সংশয় আর সম্মানের সাথে বেঁচে থাকার সংগ্রাম নিয়ে এক অভিনব নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় এই সিরিয়ালের এক একটি পর্ব।

দীপ্ত টিভির অভিজ্ঞ ডাবিং টিমের পরিচর্যায় গল্পটি হয়ে উঠেছে আরো প্রাণবন্ত, আ’কর্ষণীয়। অনূদিত সংলাপ রচনা ও সম্পাদনায় কাজ করেছেন জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী, মাহমুদুল হাসান মুরাদ, শারমিন হোসেন, আইরিন পারভীন, রেজওয়ান মোর্শেদ, কে এম আল ইফতেখার, সামসুন্নাহার ও ফেরদৌস বেনজীর বৃষ্টি।

ধারাবাহিকটি প্রযোজনা করেছেন তসলিমা তাহরিন। প্রচারিত হবে ১৩ নভেম্বর থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টায় ও রাত ৯টায়।