১০:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিন ও রাতের কিছু বিশেষ সময় দোয়া কবুল করা হয়

মানুষের প্রতি মহান আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহ অফুরন্ত। তার দয়া বা অনুগ্রহে হস্তক্ষেপ করার ক্ষ’মতা কারো নেই। আল্লাহ তাআলার ঘোষণাও এমনই। আল্লাহ বলেন-‘মানুষের প্রতি আল্লাহ কোনো করুণা করলে কেউ তা নিবারণকারী (ফেরাবার) নেই।

আর তিনি যা নিবারণ করেন তা তিনি ছাড়া অন্য কেউ তার প্রেরণকারী নেই। আর তিনি মহা পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা ফাতির : আয়াত ২)আল্লাহর অনুগ্রহে বা’ধা দেয়ার কেউ নেই।

আল্লাহ তাআলার রহমত বা অনুগ্রহের দরজা যে মানুষের জন্য সব সময় খোলা তা এ আয়াতে সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। মানুষের যে কোনো চাওয়া-পাওয়ার আবেদন সরাসরি আল্লাহর কাছে করতে দেরি, তা কবুল বা নাজিল হতে দেরি হয় না।

তাই মুমিন মু’সলমানের উচিত, আল্লাহর কাছে সব সময় তার রহমত কামনা করা। যেভাবে রহমত কামনা করতে শিখিয়েছেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লা মানিআ লিমা আত্বাইতা, ওয়া লা মুত্বিয়া লিমা মানাতা, ওয়া লা ইয়াংফায়ু জাল ঝাদ্দি মিনকাল ঝাদ্দি। (বুখারি, মু’সলিম, মিশকাত)

অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি যা দানের ই’চ্ছা কর, তা কেউ প্রতিরোধ করতে পারে না এবং তুমি যাতে বা’ধা দাও, তাও কেউ প্রদান করতে পারে না এবং কোনো সম্পদশালীর সম্পদ তোমার কাছে তাকে রক্ষা করতে পারে না।’

আল্লাহ তাআলা যেখানে কুরআনুল কারিমে আয়াত নাজিল করে বান্দাকে অভ’য় দিচ্ছেন যে, তিনি যাকে দান করেন, তার দানে কেউ বা’ধা দিতে পারে না। তাহলে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা, অনুগ্রহ কামনা করায় প্রতিবন্ধকতা কোথায়?

আর তার কাছে রহমত কামনায়ও প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বান্দাকে শিখিয়েছেন গুণগানসহ দোয়া। যা আল্লাহর রহমত লাভে বান্দার জন্য যথাযথ কার্যকরী আমল। মুমিন মু’সলমান এ দোয়াটি প্রত্যেক ফরজ নামাজ শেষে তাওহিদের ঘোষণার পর পড়ে থাকেন। হাদিসের নির্দেশনাও এমন।

আল্লাহ তাআলা মু’সলিম উম্মাহকে তার অনুগ্রহে সিক্ত হওয়ার তাওফিক দান করুন। মুমিন মু’সলমানকে দুনিয়া ও পরকালে যাবতীয় সফলতা লাভে তার রহমতের চাদরে ঢেকে রাখু’ন। আমিন।

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

দিন ও রাতের কিছু বিশেষ সময় দোয়া কবুল করা হয়

আপডেট সময়ঃ ০৮:৩৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

মানুষের প্রতি মহান আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহ অফুরন্ত। তার দয়া বা অনুগ্রহে হস্তক্ষেপ করার ক্ষ’মতা কারো নেই। আল্লাহ তাআলার ঘোষণাও এমনই। আল্লাহ বলেন-‘মানুষের প্রতি আল্লাহ কোনো করুণা করলে কেউ তা নিবারণকারী (ফেরাবার) নেই।

আর তিনি যা নিবারণ করেন তা তিনি ছাড়া অন্য কেউ তার প্রেরণকারী নেই। আর তিনি মহা পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা ফাতির : আয়াত ২)আল্লাহর অনুগ্রহে বা’ধা দেয়ার কেউ নেই।

আল্লাহ তাআলার রহমত বা অনুগ্রহের দরজা যে মানুষের জন্য সব সময় খোলা তা এ আয়াতে সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। মানুষের যে কোনো চাওয়া-পাওয়ার আবেদন সরাসরি আল্লাহর কাছে করতে দেরি, তা কবুল বা নাজিল হতে দেরি হয় না।

তাই মুমিন মু’সলমানের উচিত, আল্লাহর কাছে সব সময় তার রহমত কামনা করা। যেভাবে রহমত কামনা করতে শিখিয়েছেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লা মানিআ লিমা আত্বাইতা, ওয়া লা মুত্বিয়া লিমা মানাতা, ওয়া লা ইয়াংফায়ু জাল ঝাদ্দি মিনকাল ঝাদ্দি। (বুখারি, মু’সলিম, মিশকাত)

অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি যা দানের ই’চ্ছা কর, তা কেউ প্রতিরোধ করতে পারে না এবং তুমি যাতে বা’ধা দাও, তাও কেউ প্রদান করতে পারে না এবং কোনো সম্পদশালীর সম্পদ তোমার কাছে তাকে রক্ষা করতে পারে না।’

আল্লাহ তাআলা যেখানে কুরআনুল কারিমে আয়াত নাজিল করে বান্দাকে অভ’য় দিচ্ছেন যে, তিনি যাকে দান করেন, তার দানে কেউ বা’ধা দিতে পারে না। তাহলে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা, অনুগ্রহ কামনা করায় প্রতিবন্ধকতা কোথায়?

আর তার কাছে রহমত কামনায়ও প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বান্দাকে শিখিয়েছেন গুণগানসহ দোয়া। যা আল্লাহর রহমত লাভে বান্দার জন্য যথাযথ কার্যকরী আমল। মুমিন মু’সলমান এ দোয়াটি প্রত্যেক ফরজ নামাজ শেষে তাওহিদের ঘোষণার পর পড়ে থাকেন। হাদিসের নির্দেশনাও এমন।

আল্লাহ তাআলা মু’সলিম উম্মাহকে তার অনুগ্রহে সিক্ত হওয়ার তাওফিক দান করুন। মুমিন মু’সলমানকে দুনিয়া ও পরকালে যাবতীয় সফলতা লাভে তার রহমতের চাদরে ঢেকে রাখু’ন। আমিন।