যৌ’নতা আ’সক্তিকে একটি রো’গ হিসাবে তালিকাভুক্তি এবং চিকি’ৎসার জন্য দাবি তুলেছে দাতব্য প্রতিষ্ঠান রিলেট। যুক্তরাজ্যের জাতীয় চিকিৎসা সেবার মধ্যে সেটিকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি করছেন।
বিবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন এমন দুইজন রো’গী, যারা অনেকদিন এই সমস্যাটি মোকাবেলা করেছেন। তিন সন্তানের জননী রেবেকা বার্কার বলছেন, ”এটা ছিল অসহ্য একটি ব্যাপার যে, দিনে পাঁচবার যৌ’নমি’লন করার পরেও তা আমার জন্য যথেষ্ট ছিল না।”
প্রতা’রণা করার বদলে তিনি তার সঙ্গীকে বার’বার মিলিত হতে বলতেন। ”ঘুম থেকে ওঠার পরে প্রথমে এটার চিন্তাই আমার মাথায় প্রথমে আসতো। অনেক চেষ্টা করেও সেটা আমি মাথা থেকে সরাতে পারতাম না। বলছেন ৩৭ বছরের নর্থ ইয়র্কশায়ারের এই বাসিন্দা।”
মিজ বার্কার বলছেন, ঘুম থেকে ওঠার পরে প্রথমে এটার চিন্তাই আমার মাথায় প্রথমে আসতো” সবকিছুর সঙ্গে যেন আমি এর মিল খুঁজে পেতাম। আমি মনে করি, এটা আমার বিষণ্ণতা আর সেরোটোনিনের অভাবের সঙ্গে জড়িত ছিল। আমার পুরো শরীর যেন এটাচাইতো।”
বাসর রাতে স’হবাসের আগে ও পরে করণীয় : বিয়ে নিয়ে যাবতীয় পরিকল্পনা সত্যিই বিদঘুটে। শুরুতে মনে হয়, সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে নিয়ে নতুন এক জীবন শুরু করতে হবে। একে অপরকে ভালোবাসবে উজাড় করে। কিন্তু যত সহজভাবেই চিন্তা করেন না কেন, অনেক বিষয় আছে যা রক্ত হিম করে দেবে।
ব্রিটেনের মেডএক্সপ্রেস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হয়, বিয়ের রাতে শা’রীরিক স’ম্পর্ক বিষয়ে দারুণ দুশ্চিন্তায় থাকেন সদ্যবিবাহিত স্বামী-স্ত্রী। ৫৭ শতাংশ নারী বিয়ের রাতে যৌ’নকর্মে হতাশাজনক অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেছেন। যদি প্রত্যেক নারী-পুরুষের বিয়ের রাতের শারী’রিক স’ম্পর্ক সত্যিকার অর্থেই দুশ্চিন্তা ও হতাশার কারণ হয়ে থাকে, তবে একেবারে সঠিক পরামর্শটিই দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এর একটিই সমাধান। বিয়ের রাতে শারী’রিক সম্প’র্ক না করাটাই সবচেয়ে ভালো। বাসর রাতের অপরিসীম আবেগ-অনুভূতিতে ভেসে যান। ফুলের বিছানা, জীবনসঙ্গীকে কাছে পাওয়া, একটা রোমান্টিক রাতের উষ্ণতা সবই উপভোগ করুন। এগুলো আজীবনের স্মৃতি হয়ে থাকবে। কিন্তু এ রাতে শা’রীরিক সম্প’র্ক থেকে দূরে থাকুন।
দুজনের জীবনের সবচেয়ে উত্তেজনাকর এবং আনন্দময় একটি রাত। সত্যিকার অর্থেই, নববধূ-বর তাদের আবেগের চরম পর্যায়ে বিচরণ করেন। জরিপের ৫ শতাংশ পুরুষ জানান, বিয়ের রাতে বউয়ের কান্না থামাতেই বেশির ভাগ সময় কেটে গেছে।
এমনিতেই বিয়ের গোটা দিনটি দারুণ পেরেশানিতে কাটে। আয়োজন, সামাজিকতা পালন ইত্যাদি কাজেই জামাই-বউ যথেষ্ট ক্লান্ত হয়ে পড়েন। এরপর শা’রীরিক সম্প’র্ক’র মতো শক্তিক্ষয়ের কাজটি করতে বিরক্তই লাগার কথা। তাই সুস্থ মস্তিষ্কে যদি চিন্তা করে নিতে পারেন সঙ্গী-সঙ্গিনী, তবে রাতটি দারুণ আরামদায়ক ও উপভোগ্য হতে পারে।
অগ্রজদের কাছ থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মনে এ ধারণা ঢোকে যে, বিয়ের রাত মানেই স্বামী-স্ত্রীর শা’রীরিক স’ম্পর্ক। আবার এ কাজের মাধ্যমেই বিয়ের বিষয়টা দুজনের মাঝে গ্রহণযোগ্যতা পায়।
তবে আশার কথা হলো, বিয়ের রাতে শা’রীরিক স’ম্পর্ক না করার বিষয়টিও যুগ যুগ ধরে সমর্থন পেয়ে আসছে। ঘরে প্রবেশ করেই জানালা-দরজা বন্ধ করে দেওয়া বা পর্দা সরিয়ে কর্মের প্রস্তুতি নেওয়ার মাধ্যমে এত সুন্দর রাতটাকে নষ্ট করাটা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়।