
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী কুসুম শিকদার অভিনয় থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসনে আছেন দুই বছর ধরে। ব্যক্তিগত কারণেই তিনি অভিনয় করছেন না। তবে অভিনয়ের জন্য নাটক ও ছবির প্রস্তাব নিয়মিতই পাচ্ছেন। নাটকের প্রতি আগ্রহ কম থাকলেও ছবির কাজে আগ্রহী এ অভিনেত্রী।
করোনা দুর্যোগের মধ্যেও মূলধারার একাধিক ছবির প্রস্তাব পেয়েছেন তিনি। এগুলোতে কাজ করার আগ্রহ থাকলেও করোনার কারণে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। যদি করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে তখন শুটিং করার পরিকল্পনা আছে তার।
এ প্রসঙ্গে কুসুম শিকদার বলেন, ‘আমি অভিনয় থেকে একেবারে বিদায় নেইনি। ব্যক্তিগত কিছু বিষয়ের জন্যই থেকে দূরে আছি। অভিনয় না করলেও এ অঙ্গনের সহকর্মী ও নির্মাতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ আছে। কাজের বিরতি শুরুর পর আরও বেশি অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়ে যাচ্ছি।
তবে নাটকে তেমন আগ্রহ না থাকলেও ছবির কাজ নিয়ে ভাবছি। অভিনয় অঙ্গনে না থাকলেও ভক্ত-দর্শক ফেসবুকের মাধ্যমে আমাকে নিয়মিত উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন। পরিবার থেকেও অভিনয়ে ফেরার বিষয়ে কোনো বিধিনিষেধ নেই।
করোনাকাল অতিক্রম করার পরই অভিনয়ে ফিরব।’ অভিনয়ে দেখা না গেলেও লেখালেখি নিয়ে বেশ ব্যস্ত রয়েছেন এ অভিনেত্রী। করোনার এ বন্দিজীবনে দুটি ছোট গল্প লিখেছেন। ‘শরতের জবা’ ও ‘ছায়াকাল’ নামের এ দুটি গল্পের সঙ্গে আরেকটি গল্পজুড়ে দিয়ে একটি গল্পের বই প্রকাশের প্রস্তুতিও নিচ্ছেন কুসুম। সব পরিকল্পনা মতো এগোলে আগামী একুশের গ্রন্থমেলায় বইটি প্রকাশ করার ইচ্ছা আছে তার। ২০১৫ সালে এ অভিনেত্রী ‘নীল কাঠের কবি’ নামের একটি কবিতার বই প্রকাশ করেছিলেন গ্রন্থমেলায়। সেটির জন্য নতুন কবি হিসেবে পুরস্কারও পেয়েছিলেন কুসুম শিকদার।