গাজা যেন মৃত্যুপুরী, অন্ধকারের আতঙ্কে লাখ লাখ মানুষ

ইসরায়েলের লাগাতার বিমান হামলায় যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা। ইসরায়েলি বাহিনী জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুরোপুরি অন্ধকার হয়ে যাবে বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতি লম্বা এই

ভূখণ্ড প্রায় ২০ লাখের বেশি মানুষ মানবেতর অবস্থায় পড়বে বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের বিদ্যুৎ বিভাগের চেয়ারম্যান থাফের মেলহেম। বুধবার ভয়েস অব প্যালেস্টাইন রেডিওকে তিনি বলেন, বিকেলের মধ্যেই জ্বালানির অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাবে বুধবার গাজার কর্তৃপক্ষের জারি করা এক বিবৃতিতে বলা

হয়, ‘পুরো উপত্যকা সম্পূর্ণ অন্ধকারে নিমজ্জিত হওয়ার শঙ্কায় আছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে গাজার অধিবাসীদের জরুরি পরিষেবাগুলো দেওয়া সম্ভব হবে না। কারণ, সবগুলো সেবা খাতই বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল। রাফাহ গেট দিয়ে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় জেনারেটর দিয়েও কাজ চালিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।

এই বিপর্যয়ের পরিস্থিতিতে গাজা উপত্যকার সমস্ত বাসিন্দাদের জন্য অপেক্ষা করছে মানবিক সংকট গাজায় মাত্র একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। সেখানকার বাসিন্দাদের চাহিদা মেটানোর জন্য বাকি বিদ্যুৎ আসত ইসরায়েল থেকে। কিন্তু গত রোববার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা দেয় সেখানে সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করবে

এবং পানি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খাবারসহ সব প্রয়োজনীয় সরবরাহ বন্ধ করে দেবে। জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে এখন বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ করে দিতে হবে আল জাজিরার এক প্রতিবেদন জানিয়েছে, বুধবার সকালে জানানো

হয়েছিল গাজার একমাত্র বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি আর মাত্র ১২ ঘণ্টা সচল রাখার জ্বালানি রয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে উপত্যকার বিদ্যুৎ বিভাগের প্রধান জানিয়েছেন, আর ৩ ঘণ্টা পরই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবেন সেখানকার সাধারণ মানুষ