আকাশপথে স্বপ্নদুয়ার খোলার অপেক্ষা বাংলাদেশ নতুন এয়ারপোর্ট

কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে জাপানের মিত্সুবিশি ও ফুজিটা এবং কোরিয়ার স্যামসাং। টার্মিনাল নির্মাণ ব্যয়ে সহযোগিতা করছে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)। এতে ব্যয় হবে প্রায় ২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। প্রকল্প শুরু হয় ২০১৭ সালে। এরপর ২০২০ সালে ঠিকাদারি চুক্তি হয়। চুক্তির পর ২০২০ সালের ৬ এপ্রিল ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তাদের কাজ শুরু করে। তখন তারা কাজ বাস্তবায়নে সময় চায় ৪৮ মাস।

যেসব সুবিধা থাকবে
তৃতীয় টার্মিনালে মোট ২৬টি বোর্ডিং ব্রিজের ব্যবস্থা থাকবে। এর মধ্যে আগামী অক্টোবরে ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ চালু করা হবে। এই টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি উড়োজাহাজ পার্ক করে রাখা যাবে। এ ছাড়া থাকবে স্বয়ংক্রিয় ইমিগ্রেশন ব্যবস্থাপনা। বহির্গমনের জন্য মোট ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার থাকবে (১৫টি সেলফ সার্ভিস চেক-ইন কাউন্টারসহ)। এ ছাড়া ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট নিয়ন্ত্রণ কাউন্টারসহ বহির্গমন ইমিগ্রেশন কাউন্টার থাকবে ৬৬টি। আগমনীর ক্ষেত্রে পাঁচটি স্বয়ংক্রিয় চেক-ইন কাউন্টারসহ মোট ৫৯টি কাউন্টার থাকবে। টার্মিনালে ১৬টি ব্যাগেজ বেল্ট স্থাপন করা হবে। অতিরিক্ত ওজনের ব্যাগেজের জন্য থাকবে চারটি পৃথক বেল্ট।

এক হাজার ২৩০টি গাড়ি ধারণক্ষমতাসম্পন্ন বহুতল কার পার্কিং তৈরি করা হচ্ছে। জাপানের নেতৃত্বে পিপিপিতে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং এরই মধ্যে মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে টার্মিনালটি পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ জাপানকে দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিষয়টি চূড়ান্ত হতে আরো অন্তত ছয় মাস সময় লাগতে পারে। তবে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিতে (পিপিপি) টার্মিনালটির গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ পরিচালিত হবে এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে তা পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ জাপানকে দেওয়া হবে। তাদের যেহেতু আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট পরিচালনার অভিজ্ঞতা আছে, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে কিভাবে এটি পরিচালনা করবে।

তবে তাদের সঙ্গে চুক্তি হতে আগামী বছর সময় লেগে যাবে। চুক্তির আগে বেবিচকের কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রতিদিন প্রায় ৩০টি এয়ারলাইনসের ১২০ থেকে ১৩০টি ফ্লাইট ওঠানামা করে। এসব ফ্লাইটের ১৯ থেকে ২১ হাজার যাত্রী প্রতিদিন এই বিমানবন্দর ব্যবহার করে। এই যাত্রীদের মানসম্মত সেবা দিতে বিমানবন্দরে বর্তমানে চালু থাকা কম

আয়তনের দুটি টার্মিনাল যথেষ্ট নয়, যে কারণে নতুন টার্মিনাল করা হচ্ছে বিমানবন্দরের মূল টার্মিনালের দক্ষিণ পাশে।
হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর যাত্রা শুরু করে ১৯৮০ সালে। এখানে রয়েছে দুটি টার্মিনাল। পুরনো দুটি টার্মিনালের বছরে ৮০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। তৃতীয় টার্মিনাল পুরোপুরি চালু হলে সব মিলিয়ে বছরে দুই কোটি ৪০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়া যাবে